নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে বিএনপি ইউনিয়ন সভাপতির বিরুদ্ধে আওয়ামী অনুপ্রবেশকারিদের নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার হবখালি ইউনিয়নের বিলডুমুরতলা গ্রামে ৫টি পরিবারের বাড়ি এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্তত ৩নারীকে আহত করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

রবিবার সরেজমিন বিলডুমুরতলা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাড়ির টিনের বেড়া কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র।

ভুক্তভোগীরা জানায়, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হবখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিলডুমুরতলা গ্রামের মোঃ হুমায়ুন মোল্যা এলাকায় একক অধিপত্য বিস্তার করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দলে টানেন। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে শনিবার ( ২১সেপ্টম্বর) সকালে পরিকল্পিত ভাবে হামলার চঅনোর হয় হবখালি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি বিলডুমুরতলা গ্রামের একলাজ মোল্যা, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহবায়ক হাফিজুর মোল্যা, যুবদল নেতা সোহেল মোল্যাসহ পাঁচটি পরিবারের বাড়িঘরে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন মোল্যার নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা য় অংশ নেয়। চালিয়ে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধনসহ বাড়ির মালামাল লুটে নেয়। হামলায় তিন নারী আহত হয়। ভুক্তভোগীরা এ হামলার বিচার দাবি করেছেন।

বাড়িঘরে হামলার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে হবখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন মোল্যাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম টিংকুর মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। এই গ্রুপিংকে কেন্দ্র করে টিংকুর সর্মর্থকরা নিজেদের বাড়িঘর ভাংচুর করে তার উপর দায় চাপাচ্ছে, এছাড়া আওয়ামী লীগের কাউকেই দলে নেয়ার অভযোগও তিনি অস্বীকার করেন।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ১০জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে চেষ্ট চলছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।